যশোর শহরকে ডিজিটাল ও মডেল পৌরসভা গড়তে দলীয় প্রার্থী হতে চান সোনালী
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর: স্বাধীনতার পর যশোর পৌরসভায় প্রথম নারী জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাচ্ছেন। মনোনয়ন চাওয়ায় তিনি যশোর শহরবাসীর কাছে বেশ আলোচনা এসছেন।
আরও পড়ুন>>>নড়াইলে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন উদ্বোধন
পৌরসভার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সাথে সাথেই তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকনসহ শহরের ৯টি ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরন শুরু করে দিয়েছেন।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) তার পক্ষে শহরের গাড়িখানা থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করা হয়।
তারপর শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোসহ পর্যায়ক্রমে ৯টি ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরণ করা হয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলালীগ, যুবমহিলা লীগ ও ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানিয়ে তার পক্ষে কাজ করছেন বলে এক স্বাক্ষৎকারে সোনালী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু’র কণ্যা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ বিশ্বাসী। মেয়র হলে তিনি নারী-পুরুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু’র সোনার বাংলা গড়ার যাত্রায় অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন>>>যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের সুস্থতা কামনা করে দোয়া
যশোরকে বানাবেন শান্তি ও স্বস্তিময় ডিজিটাল শহর। মাদক ব্যবসায়ী, টেন্ডারবাজ ও সন্ত্রাসীদের শহরে কোন স্থান থাকবে না।
মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা। তার বাবা আনসার আলী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আওয়ামী পরিবারের সোনালীর জন্ম। বাবার অনুপ্রেরণায় তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নেন। শহীদ মশিয়ূর রহমান সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদকের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে দীক্ষা নেন।
আরও পড়ুন>>>খুলনার কপিলমুনি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ সাধু’র মৃত্যু
তারপর সরকারি এম এম কলেজে লেখাপড়া করার সময় ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বে আসেন। ছাত্ররাজনীতি শেষ করে তিনি জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন। জেলা যুবমহিলা লীগ যশোরে তার হাত দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়।
এখন সংগঠনটি বেশ শক্তিশালী। ইতিপূর্বে দলীয় অনেক সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ওয়ান এলেভেন ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের পর তার তিনি সফলতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জনগণের ভোটে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন>>>নড়াইল পৌর নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে মাশরাফীর আহবান
বর্তমানে তিনি যশোর চেম্বার অব কমার্সের সদস্য, উপশহর মহিলা কলেজের গভার্নিংবাডির সদস্য, রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য, শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা, সফল নারী উদ্যোক্তা ও প্রথম শ্রেণির ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন>>>ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে এক নারী নিহত, গুরুতর আহত ৫
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমাতয়নে বলিষ্ঠ কাজ করছেন। তারই অংশ হিসেবে যশোর পৌরসভায় প্রথম একজন নারী হিসেবে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী। নেত্রী মনোনয়ন দিলে শতভাগ আশা করি আমি বিজয়ী হবো। উন্নয়ন ও অগ্রগতির রাজনীতিতে যশোরে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। যার মূল দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে উন্নয়ন যাত্রায় শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে অগ্রভাগে আমার অবস্থান থাকবে। যশোর হবে সারা দেশের মধ্যে ডিজিটাল ও মডেল পৌরসভা।