স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের বহু বিতর্কিত পিস্ হসপিটালে অপচিকিৎসায় মুন্নি খাতুন (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। তবে, প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী ডাক্তার মোসলেম উদ্দীন বললেন রোগীর শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) দিনগত রাতে শহরের মুজিব সড়কের পিস্ হসপিটালে অপচিকিৎসায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন>>>যশোরে টেন্ডার ছাড়াই ওজোপাডিকোর শত কোটির ট্রান্সফরমার সাড়ে ৫ কোটিতে বিক্রি
মৃত মুন্নি খাতুন যশোর সদর উপজেলার রামনগর এলাকার আল-আমিনের স্ত্রী।
মৃতের স্বজনরা জানান, মুন্নি বিরল রোগ গুলেন বারি সিনড্রোম (জিবিএস) রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গতমঙ্গলবার সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে পিস হসপিটালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোসলেম উদ্দীনের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করেন। ভর্তির পর থেকেই রোগীর অন্য ওষুধের সাথে ইন্টিবায়টিক মেরোপেনেম ইনজেকশন চলছিলো।
বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের সেবিকা রুবি রোগীকে ৬ষ্ঠ ডোজের মেরোপেনেম ইনজেকশন পুশ করেন। এর কিছু সময় পরই ছটফট করতে করতে মারা যান মুন্নি।
এ সময় রোগীর স্বজনরা কি ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে জানতে চাইলে রোগীর ফাইলপত্র নিয়ে চলে যান ওই সেবিকা ও স্টাফরা। ভুল ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করে পরিবার ও স্বজনরা।
যশোরে অপচিকিৎসায় নারীর মৃত্যু
ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও সেবিকা রুবি এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী সেফালীকে মারপিট করে। সংবাদ পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
যশোরে অপচিকিৎসায় নারীর মৃত্যু
অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে পিস্ হসপিটালে সত্তাধীকারি ডাক্তার মোসলেম উদ্দীন দোষ শিকার করে বলেন, যে সেবিকা ওই রোগীকে ইনজেকশন পুশ করেছে তিনি কোনো ডিপ্লোমা সেবিকা নয়। তাকে দিয়ে রোগীকে ইনজেকশন পুশ করা উচিত হয়নি।
