জরাজীর্ণ চেহারা পাল্টিয়ে অভিজাতে রূপ নিচ্ছে জিন্দাবাজার
ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র বলা হয় জিন্দাবাজার এলাকাকে। জিন্দাবাজারকে ঘিরে নগরীর বন্দরবাজার ও চৌহাট্টা এলাকা সবসময়ই ব্যস্ত থাকে।এই ব্যস্ততম এলাকাকে ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
এই পরিকল্পনায় জরাজীর্ণ চেহারা বদলে ক্রমেই অভিজাত এলাকার রূপ পাচ্ছে জিন্দাবাজার।
জানা গেছে, নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারকে ঘিরে সিসিকের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।
সিলেটের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বিপণি বিতান এ এলাকাতেই রয়েছে। পর্যটন নগরীর সিলেটে তাই জিন্দাবাজারেই সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আনাগোনা থাকে। ফলে এ এলাকার দিকে বাড়তি নজর রয়েছে সিসিকের।
সিসিক সূত্র জানিয়েছে, জিন্দাবাজার কেন্দ্রিক বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় এ এলাকাকে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, টেলিফোনসহ সব ধরনের ক্যাবল নেওয়া হয়েছে মাটির নিচে। সম্প্রসারণ করা হয়েছে এসব এলাকার সড়কও।
সড়কের মধ্যখানে ডিভাইডার নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনা হয়েছে। ডিভাইডারে দৃষ্টিনন্দন গ্রিল বসিয়ে বেষ্টনী তৈরি করছে সিসিক। পুরো এলাকার সড়কে গ্রিল না বসিয়ে শোভাবর্ধক বৃক্ষচারা লাগানোর পরিকল্পনাও আছে।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সড়কের ডিভাইডারে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ করা গ্রিল বসানো হচ্ছে।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জিন্দাবাজার হচ্ছে সিলেট মহানগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা। পর্যটকদের আনাগোনাও এ এলাকায় বসচেয়ে বেশি। জিন্দাবাজারের সৌন্দর্য বর্ধনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা।
সিসিক সূত্র জানিয়েছে, জিন্দাবাজার কেন্দ্রিক বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় এ এলাকাকে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত করা হয়েছে। মাটির উপরস্থ বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, টেলিফোনসহ সব ধরনের ক্যাবল নেওয়া হয়েছে মাটির নিচে। তারের প্যাঁচে আটকা থাকা জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, বন্দরবাজার এলাকায় তাই এসেছে অন্যরকম এক আবহ।
এছাড়া সম্প্রসারণ করা হয়েছে এসব এলাকার সড়কও। আগে সড়ক ছিল সংকোচিত, মধ্যখানে ছিল না কোনোও ডিভাইডার। এখন সড়ক সম্প্রসারণ শেষে ডিভাইডার নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনা হয়েছে। তবে ডিভাইডারে এতো দিন কোনো বেষ্টনি ছিল না। ফলে সাধারণ মানুষ সড়কের মধ্য দিয়ে এইসব ডিভাইডার ডিঙিয়ে পারাপার হতেন। এতে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছিল। এই পরিস্থিতিতে সড়কের ডিভাইডারে দৃষ্টিনন্দন গ্রিল বসিয়ে বেষ্টনি তৈরি করছে সিসিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে গ্রিল বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। কারুকাজ করা কালো-সোনালি রঙের গ্রিল এ এলাকার সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে আপাতত পুরো এলাকায় গ্রিল না বসিয়ে কিছু এলাকায় বসানো হচ্ছে। এতে সৌন্দর্য কতোটুকু বাড়ে, তা পর্যবেক্ষণ করে চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার হয়ে বন্দরবাজার পর্যন্ত গ্রিল বসানো হবে কী-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিসিক। পুরো এলাকার সড়কে গ্রিল না বসিয়ে শোভাবর্ধক বৃক্ষচারা লাগানোর পরিকল্পনাও তাদের আছে। এছাড়া এসব এলাকার ফুটপাতে ফুলের টবও বসাতে চায় সিসিক।
আরও পড়ুন:
দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের সঙ্গে ভাস্কর্য নিয়ে আলোচনায় সমাধান,আন্দোলন না করার আশ্বাস
কলারোয়ায় রাস্তাধারে পাওয়া ৭বছরের সেই শিশুটি অবশেষে জাস্টিস কেয়ার হেফাজতে
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আজও বহাল তবিয়তে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকাররা