২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

কলারোয়ায় রাস্তাধারে পাওয়া ৭বছরের সেই শিশুটি অবশেষে জাস্টিস কেয়ার হেফাজতে

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
86
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
৭বছরের-সেই শিশুটি-জাস্টিস কেয়ারে
| ছবি : ৭বছরের-সেই শিশুটি-জাস্টিস কেয়ারে

জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: সাতীরার কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট বাজারে রাস্তার ধারে অনেক মানুষের ভিড়।চোখ পড়লো বাজারের কিছু লোক জড়ো হয়ে অচেনা এক শিশু ছেলেকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করছে, কিন্তু শিশুটি কিছুতেই কিছু বলছে না।

সেখানে উপস্থিত লোকজন শিশুটির কাছে নিয়ে আদর করে পরিচয়-ঠিকানা জানার চেষ্টা করলেন।

অনেকক্ষণ অনেককিছু জিজ্ঞাসা করার পর শুধুমাত্র নিজের নাম সোবহান ও বাবা মোক্তার হোসেন ও মায়ের নাম মর্জিনা খাতুন ছাড়া কিছুই বলতে পারলো না শিশুটি।

বিভিন্নভাবে কথা বলে শেষমেশ গ্রামের নাম জানা গেলো অনুপামপুর। কিন্তু জেলা উপজেলা কিছুই বলতে পারলো না।

তাৎক্ষণিক শিশুটিকে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবিরের জিম্মায় দেন সরদার জিল্লুর নামে এক সমাজসেবী।

ঘটনাটি গত ১৩ডিসেম্বর রবিবার বেলা আনুমানিক ১২টার দিকের এরপর নৈতিক দায়বদ্ধতা আর বিবেকের তাড়নায় শুধু গ্রামের নাম নিয়ে চললো ঠিকানা সংগ্রহের কাজ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পরিচিত লোকের মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের অনুপামপুর গ্রামে শিশুটির বাড়ি বলে নিশ্চিত হওয়া গেলো। কলারোয়া থানা পুলিশ যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে প্রচেষ্টা চালালেন।

এরপর ওই গ্রামের (অনুপামপুর) ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন ও সংশ্লিষ্ট নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রনি লস্কার মোবাইল নং সংগ্রহ করে তাদের মাধ্যমে শিশুটির বাড়িতে খবর পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু  সেখানে আরেক সমস্যা।

শিশুটির বৈধ অভিভাবক তথা পিতা-মাতা কিংবা ভাই শিশুটিকে নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য।

তখন বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানালে তাদের তরফ থেকেও কোন সাড়া পাওয়া গেলো না। শিশু ছেলে সোবহান জানায়, শুক্রবারে তার মা তাকে বেদম মারপিট করলে সে বাড়ি থেকে রাগ করে চলে আসে। তার বাবা পেশায় একজন ভিক্ষুক।

নিয়ামতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রনি লস্কার ও মেম্বর মোবারকও এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

কলারোয়া থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, উপায়ান্ত না পেয়ে ‘জাস্টিস এন্ড কেয়ার’ নামে যশোরের একটি বেসরকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা হলো।

অতপর: ১৪ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যার ৭টার দিকে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবিরের সহযোগিতায় ও এসআই হামিদের প্রচেষ্টায় কলারোয়া থানায় আসলেন ‘জাস্টিস এন্ড কেয়ার’ নামে যশোরের ওই বেসরকারী সংস্থার ৩জন কর্মকর্তা।

তাদের নিকট তুলে দেয়া হলো ৭বছরের ওই শিশুটিকে। ‘জাস্টিস এন্ড কেয়ার’র সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এবিএম মুহিদ হোসেন সংস্থার পেপারে স্বাক্ষর করে শিশুটিকে নিয়ে যান। যত দ্রুত সম্ভব শিশুটিকে তার অভিভাবকের হাতে তুলে দিবেন ওই অস্বচ্ছল পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

আরওপড়ুন>>>
দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের সঙ্গে ভাস্কর্য নিয়ে আলোচনায় সমাধান,আন্দোলন না করার আশ্বাস

উজিরপুরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ আসামীর আমৃত্যু-যাবজ্জীবন কারাদন্ড

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আজও বহাল তবিয়তে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকাররা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

One comment on “কলারোয়ায় রাস্তাধারে পাওয়া ৭বছরের সেই শিশুটি অবশেষে জাস্টিস কেয়ার হেফাজতে”

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram