২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

পুলিশের বিরুদ্ধে তিন আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
জুলাই ১, ২০২১
11
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
| ছবি : আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের শার্শার গোড়পাড়া ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে ৩ জন আসামীকে মদ ও প্রাইভেটকার সহ আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার রাত ৯টায় নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া-গাতিপাড়া এলাকার জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারীরা জুয়াড়িদের জন্য সরবরাহকালে প্রাইভেটকার ও মদসহ হাতে নাতে পুলিশের কাছে আটক হয়। পরে আর্থিক লেনদেনের পর ছেড়ে দেওয়ায় ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ ও সচেতন মহলের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন>>>প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত ৯টায় ফাঁড়ির এএসআই তৈয়েবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ফাঁড়ির সামনে রাস্তার উপর অবস্থান করেন। এ সময় সীমান্ত এলাকা শিকারপুর থেকে একটি সাদা রং-এর নাইনটি প্রাইভেটকার আটক করে ফাঁড়ি অভ্যন্তরে তল্লাশী চালিয়ে কয়েক বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। কারের ভিতরে থাকা নিজামপুর ইউনিয়নের আমতলা গাতিপাড়া গ্রামের হক আলির ছেলে জুয়া সম্রাট তরিকুল ইসলাম (৩০), মিজান ডাকাতের ছেলে নজরুল এবং চালক মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৭) কে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন>>>রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২২ জনের মৃত্যু

সূত্রটি আরো জানায়, গোড়পাড়া গাতিপাড়া এলাকার কয়েকটি স্পটে দীর্ঘদিন ধরে জুয়া বোর্ড পরিচালনা করে আসছে সিন্ডিকেট প্রধান জুয়া সম্রাট তরিকুল ইসলাম। পুলিশ ফাঁড়ির ১ কি:মি: এর মধ্যে প্রকাশ্যে দিন-রাত চলে এ জুয়া বোর্ডের কর্মকান্ড। দুর-দুরান্ত থেকে আসা লক্ষ লক্ষ টাকার এই আসরে ভিআইপি জুয়াড়িদের জন্য সরবরাহকৃত মদ নিয়ে আসার সময় তারা পুলিশের হাতে আটক হয় বলে ধারণা স্থানীয়দের। পরে ওই রাতেই গাড়িসহ তরিকুলের লোকজন স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতা ও জনপ্রতিনিধির মধ্যস্থতায় ফাঁড়িতে বসে মোটা অংকের অর্থের লেনদেনের পরে কারটিসহ তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গোড়পাড়া ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই এজাজুর রহমান বলেন, হাফ লিটার বাংলা মদ প্রাইভেটকারসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। এএসআই তৈয়েবুর এসময় কয়েকটা লাথি-চড় মারে। মামলা দেওয়ার জন্য পরিমাণমত মদ না পাওয়ায় ওসি স্যারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তাদের নির্দেশে আটককৃতদের মুসলেকার মাধ্যমে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখানে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন হয়নি।

শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, উর্ধ্ব:তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করার পরে বলছে যে, অল্পস্বল্প মাল দিয়ে মামলা ও করোনায় কষ্ট দেওয়ার দরকার নাই। মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram