কলারোয়ায় বিএনপি নেতা বজলুর দাপটে দিশেহারা নৈশপ্রহরী বিচার চায়
জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ কলারোয়ায় এক বিএনপি নেতার দাপটে দিশেহারা নৈশপ্রহরী বিচারের আসায় লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
রোববার (১০অক্টোবর) সকালে উপজেলা চত্বরে অর্ধশত মানুষের সামনে নিরহ নৈশপ্রহরী উপজেলার গাজনা গ্রামের সোহরাব হোসেন বলেন-তার দাদা মৃত মানিক মোড়ল ১৯৯০সালে উপজেলার সরসকাটি দাখিল মাদরাসা স্থপিত হওয়ার সময় জমিদাতা
হিসাবে ৫২শতক জমি দান করেন।
এর পরে সোহরাব হোসেন নিজ যোগ্যতায় ৩০এপ্রিল ৯৮সালে ওই মাদরাসায় নৈশপ্রহরী হিসাবে নিয়োগ পান। সেই থেকে তিনি চাকুরি করে আসছেন।
এর মধ্যে ওই মাদরাসায় সভাপতি হন বিএনপি নেতা বজলুর রহমান। তিনি সভাপতি হয়ে বিভিন্ন সময় নৈশপ্রহরী সোহরাব হোসেনকে অজাথা হয়রানী করে আসছে।
এমনকি তার অরেশ সূত্রে প্রাপ্ত ৬শতক জমি দখল নেয়ার চেষ্টা করে আসছে। এনিয়ে সাতক্ষীরা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল আদালতে এলএস- ৪৬৪/২০সালে একটি মামলা হয়।
মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ সকালে বিবাদী বজলুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মশিয়ার মোড়ল, পবিত্র সাহা, ইবাদ মোড়ল, সিরাজুল ইসলাম দলবদ্ধ হয়ে ওই বিরোধ পূর্ন জমিতে প্রাচীর নির্মানের চেষ্টা করে।
এতে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের হাতে জখম হন নিরহ নৈশপ্রহরী সোহরাব হোসেন ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম। তারা দুইজন
জখম প্রাপ্ত হয়ে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এর পরে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য কলারোয়া থানায় বজলুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মশিয়ার মোড়ল, পবিত্র সাহা, ইবাদ মোড়ল, সিরাজুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে ৬জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন নৈশপ্রহরী সোহরাব হোসেন।
তিনি আরো বলেন-বিএনপি নেতা বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে সরসকাটি দাখিল মাদরাসার সুপার মুজিবার সহ ৩জনকে সাময়িক ভাবে রবখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে নিরহ নৈশপ্রহরী সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানী মূলক অভিযোগ তুলে চাকুরি থেকে সাময়িক ভাবে রবখাস্ত করে বেতন ভাতা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী নং-৬৩২ করা হয়েছে।
তিনি এঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও সাময়িক রবখাস্ত প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।