১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

সাতক্ষীরার কলারোয়া হাসপাতাল এখন ময়লা আবর্জনায় স্তুপ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
জানুয়ারি ২২, ২০২২
8
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
প্যাথলজি ও ক্লিনিকে রোগী দেখে সময় পার
| ছবি : প্যাথলজি ও ক্লিনিকে রোগী দেখে সময় পার

        হাসপাতালের বাইরে প্যাথলজি ও ক্লিনিকে রোগী দেখে সময় পার
কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া হাসপাতাল এখন ময়লা আবর্জনায় ভর্তি। হাসপাতালের ডাক্তারা হাসপাতালে সময় না দিয়ে হাসপাতালের বাইরে প্যাথলজি ও ক্লিনিকে সেন্টার খুলে রোগী দেখে সময় পার করছেন তারা।

একজন সরকারী ডাক্তার হাসপাতালে কম সময় দিয়ে মাসের পর মাস সরকারী বেতন তুলছেন। আবার প্যাথলি ও ক্লিনিক খুলে ব্যবসাও করছেন। অবশ্যই এই সকল ডাক্তারদের বাড়ী কলারোয়ায় হওয়ায় তারা এই কাজ বিনা বাধায় চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালে কোন রোগী আসলে সাথে সাথে সাতক্ষীরায় পাঠিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হন তারা।

আরও পড়ুন>>>বন্ধ থাকবে সব ধরনের কোচিং সেন্টারও

আর এই সময়ে তারা পর্যায় ক্রমে ৭০/৭৫ টি ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ফ্রি স্যাম্পুল (ওষুধ) নিতে থাকেন। যার কারনে হাসপাতালে চিকিৎসা না দেওয়ায় অনেক রোগী সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। এমনকি এই হাসপাতালে নেই কোন গাইনী ডাক্তার। যা দীর্ঘ দিন ধরে পদটি শুন্যর কোটায় থাকলেও কারোর কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারণ একটাই গর্ভবতী মায়েরদের ক্লিনিকে ভর্তি করতে পারলেই ডাক্তারা পবেন টাকা আর টাকা। আর রোগীদের কৌশলে তাদের পছন্দের ক্লিনিকে ভর্তি করেন ডাক্তারা।

এছাড়াও হাসপাতালে কোন অসহায় মানুষ ৩ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার সাহেব লিখে দেন ৪/৫ প্রকার ল্যাব টেস্ট। গরিব অসহায় মানুষের টাকা না থাকায় তারা ল্যাব টেস্ট করাতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় বাড়ীতে ফিরছে। কেউ কেউ ল্যাব টেস্ট করে নিয়ে যাচ্ছে ডাক্তারের কাছে। আর এই ল্যাব টেস্ট করানোর টাকা থেকে ৪০% টাকা ওই রিপোর্ট লেখানো ডাক্তার পাচ্ছেন।

রোগী বিশেষ ডাক্তারের ফি ৩০০টাকা আর কৌশলে টেস্ট করানো রিপোর্ট থেকে পাচ্ছে ৪০০টাকা। তাহলে একজন ডাক্তার এক রোগীর কাছ থেকে পাচ্ছেন ৭০০টাকা। তাহলে এখন রোগী ওষুধ কিনবেন কি করে।

কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে এই অবস্থা শুরু হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। হাসপাতালের সামনে ৩টি ক্লিনিক ও ৬টি প্যাথলজি সেন্টারের দোকান খোলা রয়েছে। এই সেন্টার এখন রোগী ধরার ফাঁদ। এখন আরো একটি ক্লিনিকের দোকান উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। কলারোয়ার ডাক্তাররা সরকারী হাসপাতাল এখন পারিবারিক হাসপাতালে পরিণত করেছে। ডাক্তাররা দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে কর্মরত থাকায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

একদিকে ডাক্তাররা ফুলে কলাগাছ হচ্ছে আর অন্যদিকে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু কিছু ডাক্তার ঢাকায় ফ্লিলাট কিনছে। আর কলারোয়ায় ৩/৪ স্থানে জমি কিনছে। এসকল বিষয়ে তদন্ত করলে সব রেব হয়ে আসবে। এলাকার গবীর অসহায় মানুষের দাবী দূর্নীতিবাজ এসব ডাক্তারের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে শাস্তিমূলক ভাবে বদলির দাবী জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram