২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

বাংলাদেশের জাতিসংঘে মহীসোপানের হালনাগাদ তথ্য দিলো

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
মার্চ ২, ২০২২
11
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
বাংলাদেশের জাতিসংঘে মহীসোপানের হালনাগাদ তথ্য দিলো
ছবি- সংগৃহীত | ছবি : বাংলাদেশের জাতিসংঘে মহীসোপানের হালনাগাদ তথ্য দিলো

ডেস্ক রিপোর্টঃ বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান সীমা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যাদি জাতিসংঘে জমা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (২ মার্চ) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘের মহীসোপান নির্ধারণসংক্রান্ত কমিশনের (সিএলসিএস) ৫৪তম অধিবেশনে এ হালনাগাদ তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব ও প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম এবং এ সংক্রান্ত কমিটির অন্যান্য কারিগরি বিশেষজ্ঞরা। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর সিএলসিএস-এ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের মহীসোপানের সংশোধিত তথ্য দাখিলের পর এ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যাদির উপস্থাপন করা হলো।

বাংলাদেশের মহীসোপান সীমা সংক্রান্ত দলিলাদি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবারের মতো সিএলসিএস-এ জমা দেওয়া হয়। তবে, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সমুদ্রসীমা বিরোধের কারণে কমিশন বাংলাদেশের দাখিল করা দলিলাদি সে সময় পরীক্ষা করতে পারেনি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিচারিক সংস্থার মাধ্যমে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের সমাধান করে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সালের দাখিল পুনরায় পর্যালোচনা করে ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর সিএলসিএসের কাছে বাংলাদেশের মহীসোপান সীমা সংক্রান্ত দলিলাদির নতুন সংস্করণ পেশ করে। এ সংশোধিত দাখিলে ট্রাইব্যুনাল নির্ধারিত বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানের নতুন সীমারেখা অনুসরণ করা হয়।

আরও পড়ুন>>>বিএনপি প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে: হানিফ

আজকের এ উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে তার অধিকার রক্ষা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত তথ্য সরবরাহ করেছে। এরপর সিএলসিএসের নিয়ম অনুযায়ী, এ উদ্দেশ্যে গঠিত একটি সাব-কমিশন বাংলাদেশ উপস্থাপিত দলিলাদি পরীক্ষা করে মালিকানার বিষয়ে সুপারিশ করবে। এর ফলে বাংলাদেশ ওই এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করতে পারবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, যেখানে সম্পদের অভাব রয়েছে। বাংলাদেশের মহীসোপান সীমার বিষয়ে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ বিশাল সমুদ্র এলাকার সব প্রাণযুক্ত ও প্রাণহীন প্রাকৃতিক সম্পদের অন্বেষণ, সংরক্ষণ ও উন্নয়নে একটি ভিত্তি দেবে। যা আমাদের টেকসই উন্নয়ন, শক্তির চাহিদা ও আমাদের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।

বাংলাদেশ সরকার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এ দলিলাদির উপস্থাপন নিয়ে কাজ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পেট্রোবাংলা, বাপেক্স, জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ, স্পারসো ও বিআইডাব্লিউটিএ'র একটি বিশেষজ্ঞদল এ দাখিল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। এছাড়া, কমনওয়েলথ সচিবালয় এবং জাতিসংঘের ট্রাস্ট ফান্ড থেকে বাংলাদেশ এ বিষয়ে আইনি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, মহীসোপান সীমাসংক্রান্ত এ উপস্থাপন আমাদের দেশের জন্য একটি বড় অর্জন, বিশেষ করে এমন একটি সময়ে আমরা এটি সম্পন্ন করতে পারলাম, যখন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হওয়ার পথে সামনে এগিয়ে চলেছি, যেটি আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। আগামী দিনগুলোতে এ মহীসোপান এলাকার প্রাণযুক্ত ও প্রাণহীন প্রাকৃতিক সম্পদ-প্রাচুর্য উন্মোচনে আমাদের পূর্ণ সামর্থ্যের ব্যবহার এ পথচলায় সবচেয়ে বড় পাথেয় হয়ে থাকবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram