১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

খুলনার কপিলমুনিতে মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যায় বর্গাকার প্রাচীন আমলের ইট

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
এপ্রিল ৭, ২০২২
18
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যায়
ঢিবির নিচে রয়েছে প্রাচীন কালের স্থাপত্য শিল্পের নানা নিদর্শন। | ছবি : মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যায়

শেখ খায়রুল ইসলাম,(পাইকগাছা) খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় কপিলমুনির কয়েক জায়গায় রয়েছে বড় মাটির ঢিবি। জনশ্রুতি আছে এ সব ঢিবির নিচে রয়েছে প্রাচীন কালের স্থাপত্য শিল্পের নানা নিদর্শন।

বিশেষ করে কপিলমুনি ইউনিয়নের রেজাকপুর গ্রামে সিংয়ের বাগান ঢিবিটিতে বিস্তীর্ন জায়গা জুড়ে রয়েছে ইটের সমাহার। মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যায় বর্গাকার প্রাচীন আমলের ইট। আশেপাশের লোকজন মাটি খুঁড়ে ইট বের করে স্থাপনা তৈরির কাজে ব্যাবহার করছেন।

এমন খবরের ভিত্তিতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ২০২০-২০২১ সালে পাইকগাছা উপজেলা জরিপ ও অনুসন্ধান কার্যক্রম চালান এবং বেশকিছু ঢিবি শনাক্ত করেন। তবে সিংয়ের বাড়ি ঢিবিটিকে খননে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন তারা। সে মোতাবেক প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর (খুলনা ও বরিশাল)’র আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতার নেতৃত্বে গত ১৬ মার্চ উক্ত ঢিবিটি খনন কাজ শুরু হয়।

আরও পড়ুন>>>মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েও বানারীপাড়ার হারিছার দু’চোখে অমানিশার অন্ধকার !

প্রায় ১ মাস খননের মাঝে সেখানে প্রাচীনকালের বর্গাকৃতি ইটের তৈরি ধ্বংসবশেষ একটি স্থাপনার আংশিক দৃশ্যমান হয়েছে। চারপাশে প্রায় ৭ ফুট প্রস্থ দেওয়ালে ঘেরা। পাকা ঘরের মাঝখানে প্রায় ৬ ফুট বর্গাকার জায়গা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বর্গাকার এই জায়গায় দেব দেবীদের বিগ্রহ ছিল। খননের সময় এখানে কঁড়ি,প্রাণীর হাড় ও মাটির তৈরি তৈজসপত্রের ভাঙ্গা অংশ পাওয়া গেছে।

এ খনন কাজে সংশ্লিষ্ট বাগেরহাট যাঁদু ঘরের কাস্টোডিয়ান মোহাম্মদ জায়েদের ধারনা এটা প্রাচীনকালে কোন ধর্মীয় স্থাপনা হতে পারে।

স্থানীয়রা বলেছেন,রাজা লক্ষন সেন অথবা চাঁদ সওদাগরের বাস ভবন হতে পারে এটা।

মোহাম্মদ জায়েদ জানান,খনন কাজের আরও একমাস বাকি রয়েছে এর মধ্যে কতখানি সফলতা আসে দেখা যাক।
মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যায়
তিনি আরও জানান,খনন কাজে বগুড়ার মহাস্থানগড় থেকে ২ জন ও বাগেরহাট থেকে ৪ জন দক্ষ শ্রমিক আনা হয়েছে এবং স্থানীয় ৮ জন সহ মোট ১৪ জন শ্রমিক দিয়ে প্রতিদিন খনন কাজ চলছে।

এ দিকে খনন কাজ ও মাটির নিচে প্রাচীন স্থাপনা দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram