সাংবাদিক মাহফুজকে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে ফাসানোর চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোরের মণিরামপুরে বিজয় টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে মঙ্গলবার (২২মার্চ) বিকেলে মিষ্টির দোকানে চাঁদাবাজির সময় দুই যুবককে ধরে পুলিশে সোপার্দ করেছে স্থানীয় জনগণ এই সংবাদের এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ (২৫)।
মাহফুজ বুধবার রাতে তার নিজ মোবাইল নাম্বার থেকে স্বাধীন বার্তা ২৪ কে জানায় যে, তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রীমহল এটি করেছে। তার বিরুদ্ধে যে কথা গুলো লেখা হয়েছে তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। সেই সাথে তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি জানায়, আমি সংবাদিকতা করী প্রায় ১০/১২ বছর ধরে এবং আমি কেশপুর প্রেসক্লাবের একজন সদস্য আমার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ নাই। তিনি আরও বলে, আমি সংবাদিকতা পাশাপাশি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষাকতা করি তাহলে আমি কেন চাঁদাবাজি করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহফুজ জানান, আমি মণিরামপুর একটা কাজে গিয়েছিলাম ওই ব্যকারির পাশে বসে আমি আর আমার বন্ধু চা খাচ্ছিলাম এমন সময় ওই বেকারি মালিক আমাকে ডেকে তার বেকারির ভিতরে নিয়ে যায়। পরে সে চিৎকার করে স্থানীয়দের জড়ো করে আমি অবস্থা খারাপ দেখতে পেয়ে হেল্পলাইন নাম্বার ৯৯৯ ফোন করি পরে পুলিশ এসে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আমাকে ওখান থেকে চলে যেতে বলে এবং আমি বাড়ি ফিরে যায়।
তবে বুধবার কিছু অনলাইনে আমার ওই ঘটনাটা নিউজ দেখতে পাই কিন্তু তখন আমার আর বুছতে বাকি থাকেনা যে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছিলো। এ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন ঘটনার আমি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে এঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত আছে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা গ্রহন করব।
আরও পড়ুন>>>জুন মাসে পদ্মা সেতু চালু করতেই চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ
সাংবাদিক মাহফুজের বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে খোজ নিয়ে জানা যোয়, সে যশোরে বেসরকারি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ও পত্রিকায় সোনামের সাথে প্রায় এক যুগের বেশি দিন ধরে কাজ করে আসছে। কিন্তু গেল মঙ্গলবার মরিামপুরে আসলে এক সংবাদ প্রকাশের জেরে একটি কুচক্রীমহল মায়ের দোয়া বেকারী মালিক কামাল হোসেনকে দিয়ে মাহফুজকে ফাসানোর চেষ্টা করে। তবে কামাল হোসেন পরে সাংবাদিক মাহফুজের বিষয়ে খোজ নিয়ে জানতে পারে সে একজন পেশাদার সাংবাদিক। কামাল তখন তার ভুল বুছতে পেরে ক্ষমা চেয়ে পুলিশের কাছে স্টেটমেন্ট প্রদান করেন যে, একটি কুচক্রীমহল তাকে দিয়ে মাহফুজ কে ফাসাতে চেয়েছিল।
এ বিষয়ে স্থানীয় শামীম আক্তার মুকুল জানান, আমি সরজমিনে ছিলাম সব ঘটনা দেখে এটা বুঝেছি যে মাহফুজ কে ফাসানোর জন্য মিথ্যা চাঁদাবাজির গুজব ছড়ানো হয়েছিলো। চাঁদাবাজির মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯ মাহফুজ “ যশোরের মনিরামপুরের রোহিতা বাজারে বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স না নিয়ে বেকারি পণ্য উৎপাদন করে যাচ্ছে মেহেদী ও মেঘনা বেকারি ” এই শিরোনামে একটি ভিডিও নিউজ প্রকাশ করে তার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে দাবি করছে মাহফুজ।