ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামে ইউপি সদস্য নির্বাচনে পক্ষ না করায় নির্বাচনী প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ীকে আহত করেছে।
আরও পড়ুন>>>নওগাঁয় স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী আটক
এঘটনায় আহত আলমগীর আজ শনিবার দুপুরে রাজাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-৯৭, তারিখ- ০৩-০৭-২১) করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে পার্শ্ববর্তি গ্রাম বারবাকপুরের হাজির হাটে এ হামলা চালানো হয়েছে। আহত বাজারের ওষুধ বিক্রেতা (ফার্মেসী) মো. আলমগীর হোসেন নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের আ. কাদের হাওলাদারের পুত্র।
আরও পড়ুন>>>মেহেরপুরে লকডাউনের তৃতীয় দিনে সেনাবাহিনী অভিযান
আলমগীর হোসেন জানান, সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রার্থী কুদ্দুস হোসেনের প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। সেই ক্ষোভে শুক্রবার মাগরিবের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আ. সোবাহান হাওলাদারের কিশোর গ্যাং গ্রুপের নয়ন হাওলাদার, মোস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির, জুমাইদসহ ৫০/৬০জনে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। পিটিয়ে ও কিল ঘুষি দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয় জকির, পনু, আ.রবসহ ওই বাজারের লোকজন উদ্ধার করে।হামলাকারীরা ততক্ষণে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন>>>যশোরের শার্শায় দেশি ও চোলাই মদের জমজমাট ব্যবসা
এরপরে রাজাপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র ছিড়ে ফেলে ভর্তি হতেও বাধা দেয়। পরে আবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করে। শনিবার সকালে শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হলে পুনরায় চিকিতসা নিতে হয়। নির্বাচনের পরে জাকির নামে একজনকেও মারধর করে উল্লেখিত এই কিশোর গ্যাং গ্রুপ৷
এছাড়াও ওই কিশোর গ্যাং গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী আ. সোবাহান হাওলাদারের পুত্র তৌহিদুল ইসলাম চান ১২/১২/১২ তারিখের রাতে কুপিয়ে আরও ৩ জনকে গুরুতর জখম করে। এছাড়াও সে একাধিক চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলার আসামী।