সর্বোচ্চ দূষিত ১০০ শহরের তালিকায় বাংলাদেশের ৪
ডেস্ক রিপোর্টঃ দূষিত তালিকার প্রথম ১০০ শীর্ষ শহরের ৯৪টিই ভারত, চীন ও পাকিস্তানে। দক্ষিণ এশিয়ার একক আধিপত্য থাকা এ তালিকায় বাংলাদেশের রয়েছে চারটি শহর। আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবছর ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। গত সপ্তাহে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে ২ কোটি বাসিন্দার শহরটির বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দিতে হয়। এখন দিল্লির মনোযোগ বাতাসে ক্ষতিকর কণা পিএম ২ দশমিক ৫ পার্টিকল সীমিত রাখা, যা মানুষের ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। দিল্লির পিএম ২ দশমিক ৫ পার্টিকল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২৪ গুণ বেশি। শীতকালে বিষাক্ত ধোঁয়া সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছে যখন কৃষকরা শস্য কাটার পর তার অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দেন।
বায়ু মান সূচকে সবশেষ আজ সোমবার (২২ নভেম্বর) দেখা যাচ্ছে দূষিত বায়ুর শীর্ষ শহর কলকাতা। দ্বিতীয় অবস্থানে করাচি ও তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা। তবে তালিকার প্রথম থেকে বর্তমানে সপ্তম স্থানে রয়েছে দিল্লি।
আরও পড়ুন>>>সাতক্ষীরায় ভারতীয় মদ সহ এক নারী আটক
২০২০ সালের হিসাবে বিশ্বের একশো দূষিত শহর তালিকায় ভারতের ৪৬টি শহরের নাম রয়েছে। এরপরই চীনের স্থান। দেশটির ৪২টি শহরের বায়ু দূষিত মাত্রায় বিরাজ করছে। পাকিস্তানের ছয়টি, বাংলাদেশের চারটি, ইন্দোনেশিয়ার ও থাইল্যান্ডের রয়েছে একটি করে শহর। বায়ু মান গবেষণায় ভারত, চীন ও পাকিস্তান মিলে ৯৪টি শহর রয়েছে দূষিত বায়ু তালিকায়। বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৯৮। আইকিউএয়ার ট্র্যাকারের হিসাবে এসব শহরের বায়ুতে পিএম ২ দশমিক ৫ ক্ষতিকর কণার মাত্রা ৫০ এর বেশি। সর্বোচ্চ দূষিত ১০০ শহরের
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষিত শহর তালিকায় ১০টির মধ্যে ৯টিই ভারতের। আর চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের হোতান শহরে সর্বোচ্চ ক্ষতিকর মাত্রা দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালে। তখন ক্ষতিকর মাত্রা উঠে যায় ১১০ দশমিক ২ এ। মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটের হিসাবে ২০২৯ সালে বায়ুদূষণে ভারতে মারা যায় ১৬ লাখের বেশি মানুষ। সর্বোচ্চ দূষিত ১০০ শহরের
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে বায়ু দূষণে বিশ্বে প্রতিবছর ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ৯০ ভাগের বেশি মারা যায় যেসব এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা মারাত্মক বেশি। বায়ুদূষণ জনিত রোগ বালাইগুলোর মধ্যে অন্যতম অ্যাজমা, ডায়বেটিস এবং হৃদরোগ।