গ্রাহক হয়রানি বন্ধে ফেসবুক হ্যাকারদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি
ডেক্স রিপোর্টঃ বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধে হ্যাকারদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ দাবি জানায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুক হচ্ছে বেশি জনপ্রিয় । বর্তমানে এ মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি ত্রিশ লাখ। বর্তমানে এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থাৎ এফ-কমার্সে লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন>>>আফগানিস্তানের ২৯টি প্রদেশের ১১৬ জেলা তালেবানের দখলে
ফেসবুক হ্যাকারদের গ্রেফতার দাবি
এছাড়া গণমাধ্যমের সংবাদ পরিবেশন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশিত হয় ফেসবুক পেজের মাধ্যমে। এমনকি ব্যক্তিগত মত প্রকাশের পাশাপাশি পারিবারিক যোগাযোগ ও অনুষ্ঠানাদি প্রকাশিত বা প্রচারিত হচ্ছে এ মাধ্যমে। করোনা মহামারিতে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠেছে ফেসবুক।
আর এ সুযোগকে অসৎ কাজে ব্যবহার করায় লিপ্ত রয়েছে একশ্রেণির প্রতারক যাদের আমরা ফেসবুক হ্যাকার হিসেবে চিনি।
তিনি আরও বলেন, এই প্রতারক চক্র পরিচিত এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের আইডি হ্যাক করে তার পরিচিত একজনের কাছে মিলযুক্ত ‘ফিশিং লিংক’ পাঠাচ্ছে। আর পরিচিতজনের লিংকটি ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই হ্যাকার চক্র তার আইডিটি হ্যাক করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। এরপর ওই আইডির দাবিদার ব্যক্তির কাছে আইডি ফেরত দেয়ার কথা বলে অর্থ দাবি করছে হ্যাকার।
আরও পড়ুন>>>জামিন পেয়েও টাকা ছাড়া হাজতখানা থেকে মুক্তি মিলছেনা আসামিদের
ফেসবুক হ্যাকারদের গ্রেফতার দাবি
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন এ ধরনের প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে হ্যাকাররা আইনজীবী আলমের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আমার কাছেও অর্থ চেয়েছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়, কারণ অ্যাডভোকেট আলম একজন সফল ব্যক্তি সে আমার কাছে অর্থ সাহায্য চাইতে পারে না।পরবর্তীতে জানতে পারি তার আইডি হ্যাক করা হয়েছিল এবং তার পরিচিত জনের কাছ থেকে ইতোমধ্যে ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই হ্যাকার চক্র।
আমরা গণমাধ্যমে প্রায় সময়ই এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই শুনছি এই ফেসবুক হ্যাকার দৌরাত্ম্যের কথা। তাই আমরা সরকার ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত সকল বাহিনীর কাছে দাবি জানাচ্ছি এই সকল অপরাধ চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।